তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখা হয়েছে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখা হয়েছে
বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ২০১১ সালে গৃহীত হয়। এটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা ও রাজনৈতিক কাঠামোতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছিল। এই সংশোধনী মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল এবং অন্যান্য সাংবিধানিক বিষয় সংশোধনের জন্য গৃহীত হয়।
পঞ্চদশ সংশোধনীর মূল বিষয়গুলো:
-
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল
- এই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এর ফলে সাধারণ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর ন্যস্ত হয়।
-
জাতীয়তাবাদ ও রাষ্ট্রধর্ম বিষয়ক পরিবর্তন
- "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" বাক্য সংবিধানের শুরুতে বহাল রাখা হয়।
- ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়, তবে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল থাকে।
-
প্রজাতন্ত্রের কাঠামো বজায় রাখা
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, ও জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বহাল রাখা হয়।
-
সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতি
- সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং সামরিক শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধে সংবিধানের বিভিন্ন ধারা সংশোধন করা হয়।
-
কালের সীমা নির্ধারণ
- সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী ও সামরিক শাসনামলে করা যে কোনো পরিবর্তন বা আইন সংবিধানের মূল কাঠামোর সঙ্গে বিরোধপূর্ণ হলে তা অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে বিতর্ক
এই সংশোধনী ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়। অনেকেই মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার ফলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষতার অভাব দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, সরকার এটিকে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য অপরিহার্য বলে অভিহিত করে।
আপনার কি এই সংশোধনী নিয়ে আরও বিশদ আলোচনা দরকার?
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখা হয়েছে.গত ১৭ december তারিখে দেশের উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের অধিকার পুনরায় পিরে পায়. এ টি জনগণের বিজয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখা হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা
Post a Comment